১.১. বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়েছিল -
(ক) বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে
(খ) উনিশ শতকের শেষের দিকে
(গ) সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমে
(ঘ) আঠারো শতকের শেষে
উত্তরঃ (ক) বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে
১.২. রূপমূল পরিবারের রূপের বিকল্পকে বলা হয় -
(ক) স্বাধীন রূপমূল
(খ) পরাধীন রূপমূল
(গ) সহরূপ
(ঘ) বদ্ধ রূপমূল
উত্তরঃ (গ) সহরূপ
১.৩. প্রথম বাঙালি সাঁতারু যিনি বিখ্যাত হয়েছিলেন -
(ক) মিহির সেন
(খ) আরতী সাহা
(গ) বুলা চৌধুরী
(ঘ) রেশমি শর্মা
উত্তরঃ (ক) মিহির সেন
১.৪. তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে গানটি রচয়িতা -
(ক) অতুলপ্রসাদ সেন
(খ) রজনীকান্ত সেন
(গ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
(ঘ) কাজী নজরুল ইসলাম
উত্তরঃ (খ) রজনীকান্ত সেন
১.৫. বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম রঙিন বাংলা ছবির নাম হল -
(ক) সপ্তপদী
(খ) স্বরলিপি
(গ) কাঞ্চনজঙ্ঘা
(ঘ) পথে হল দেরি
উত্তরঃ (ঘ) পথে হল দেরি
১.৬. হাসান আব্দালের বর্তমান নাম কি -
(ক) হাসান সাহেব
(খ) পাঞ্জা সাহেব
(গ) নানা সাহেব
(ঘ) বশী সাহেব
উত্তরঃ (খ) পাঞ্জা সাহেব
অথবা,
ব্যাবিলন বিখ্যাত ছিল যে কারণে -
(ক) শূন্য মাঠ
(খ) শূন্য পুরী
(গ) শূন্য মরুভূমি
(ঘ) শূন্য উদ্যান।
উত্তরঃ (ঘ) শূন্য উদ্যান
১.৭. “A horse! A horse! My kingdom for a horse”- উদ্ধৃত সংলাপটি কোন নাটক থেকে গৃহীত হয়েছে -
(ক) ম্যাকবেথ
(খ) অথেলো
(গ) রিচার্ড দি থার্ড
(ঘ) জুলিয়াস সিজার
উত্তরঃ (গ) রিচার্ড দি থার্ড
অথবা,
লভ সিনে কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার হয়েছিল -
(ক) বেহালা
(খ) সেতার
(গ) গিটার
(ঘ) হারমোনিয়াম
উত্তরঃ (ঘ) হারমোনিয়াম
১.৮. ‘হাসির খোরাক, পপুলার জিনিসের খোরাক’ কোথায় পাওয়া যাবে?
(ক) ঘরে
(খ) বাইরে
(গ) মাঠে
(ঘ) ঘাটে
উত্তরঃ (খ) বাইরে
অথবা,
‘তোমার প্রেমে আমাকে আবৃত করে দাও’- কথাটি বলেছে -
(ক) সুজা
(খ) দারা
(গ) মোরাদ
(ঘ) পিয়ারা বানু
উত্তরঃ (ক) সুজা
১.৯. কাবুকি থিয়েটার কোন দেশের -
(ক) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
(খ) ভিয়েতনামের
(গ) জাপানের
(ঘ) রাশিয়ার
উত্তরঃ (গ) জাপানের
অথবা,
“অদৃষ্ট তো মানেন আপনি” - সংলাপের বক্তা -
(ক) অমর গাঙ্গুলী
(খ) রজনীকান্ত
(গ) কালিনাথ সেন
(ঘ) শম্ভু মিত্র
উত্তরঃ (গ) কালিনাথ সেন
১.১০. ‘এ জগৎ’ -
(ক) মিথ্যা নয়
(খ) সত্য নয়
(গ) স্বপ্ন নয়
(ঘ) কঠিন নয়
উত্তরঃ (গ) স্বপ্ন নয়
১.১১. “দেহ চায়” - দেহ কী চায়?
(ক) গাছ
(খ) সবুজ গাছ
(গ) বাগান
(ঘ) সবুজ বাগান
উত্তরঃ (ঘ) সবুজ বাগান
১.১২. “গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ” কে এঁকে দেয় -
(ক) ডুবন্ত সূর্য
(খ) অলস সূর্য
(গ) উদীয়মান সূর্য
(ঘ) দুপুরের সূর্য
উত্তরঃ (খ) অলস সূর্য
১.১৩. ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে -
(ক) বন ও আকাশ
(খ) আকাশ ও মাঠ
(গ) মাঠ ও বন
(ঘ) সুন্দরীর বন ও অর্জুনের বন
উত্তরঃ (ক) বন ও আকাশ
১.১৪. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে ‘জেহাদ’ ঘোষণা করেছিল -
(ক) মোল্লা সাহেব
(খ) করিম ফরাজি
(গ) ফজলু সেখ
(ঘ) আকবর মিঞা
উত্তরঃ (ক) মোল্লা সাহেব
১.১৫. “বাবুরা খায়”- বাবুরা কী খায়?
(ক) নানাবিধ চাল
(খ) নানাবিধ ফল
(গ) নানাবিধ পানীয়
(ঘ) নানাবিধ শাক
উত্তরঃ (ক) নানাবিধ চাল
১.১৬. “একসময় দাগি ডাকাত ছিল” কে?
(ক) করিম ফরাজি
(খ) মোল্লা সাহেব
(গ) নিবারণ বাগদি
(ঘ) ভটচাজ মশাই
উত্তরঃ (গ) নিবারণ বাগদি
১.১৭. ‘বাসিনী বাগ্যতা করি তোর’ - বক্তা কে?
(ক) সেজো বউ
(খ) উচ্ছব
(গ) হরিচরণ
(ঘ) বড়ো পিসিমা
উত্তরঃ (খ) উচ্ছব
১.১৮. মৃত্যুঞ্জয়ের বাজার ও কেনাকাটা করে -
(ক) নিখিল
(খ) টুনুর মা
(গ) সে নিজে
(ঘ) চাকর ও ছোট ভাই
উত্তরঃ (ঘ) চাকর ও ছোট ভাই
২. অনধিক কুড়িটি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ১×১২ = ১২
২.১. কী জন্য ‘হুতাশে’ সেদিন কতটা কাঠ কেটেছিল উচ্ছব?
উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পে উচ্ছব বাসিনীর মনিব বাড়িতে ভাতের হুতাশে আড়াই মণ কাঠ কেটে ছিল।
২.২. “আমি দেখি” কবিতায় নিজের উজ্জীবনিশক্তি কীভাবে কবি প্রকৃতির মধ্যে খুঁজতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দু’চোখ ভরে সবুজ দেখে এবং দেহ-মনে সবুজের ঘ্রাণ নিয়ে নিজের উজ্জীবনিশক্তি প্রকৃতির মধ্যে খুঁজতে চেয়েছেন।
২.৩. ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ থাকতে না পারলে কবির কী মনে হবে?
উত্তরঃ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকতে না পারলে কবির মনে হবে লেখালেখি করা, গান গাওয়া বা ছবি আঁকা এসব বৃথা।
২.৪. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের চরিত্রলিপি বয়সসহ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের চরিত্রলিপি এইরকম - (১) রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়- বৃদ্ধ অভিনেতা (বয়স- ৬৮); (২) কালীনাথ সেন- প্রম্পটার (বয়স প্রায় ৬০)।
অথবা,
“সে লড়াই সত্যিকারের তলোয়ার দিয়ে ঝনঝন করে বাস্তব লড়াই নয়”- শুধু ভঙ্গির মাধ্যমে লড়াইতে কীভাবে একজন মারা যাবে?
উত্তরঃ কাল্পনিক খাপ থেকে কাল্পনিক তলোয়ার বের করে ভীষণভাবে কাল্পনিক যুদ্ধ করতে করতে একজন পেটে কাল্পনিক খোঁচা খেয়ে কাল্পনিকভাবে মারা গিয়েছিল।
২.৫. শৈলীবিজ্ঞান কাকে বলে?
উত্তরঃ ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখা কোনো সাহিত্যিকের লিখনশৈলী বিশ্লেষণ করে, তাকে শৈলী বিজ্ঞান বলা হয়।
২.৬. থিসরাস কাকে বলে? একটি বাংলা থিসরাসের উদাহরণ দাও৷
উত্তরঃ ‘থিসরাস’ হল এমন এক ধরনের অভিধান যেখানে সমজাতীয় শব্দগুলি একটি গুচ্ছের মধ্যে সাজানো থাকে।
অথবা,
প্রয়োগতত্ত্ব কাকে বলে? সংক্ষিপ্ত উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ শব্দার্থ নিরূপণের যে তত্ত্ব অনুযায়ী শব্দের অর্থ অনুষঙ্গের উপর নির্ভরশীল থাকে, তাকে প্রয়োগতত্ত্ব বলে যেমন, মা জিজ্ঞেস করলেন- “ভিজেছ নাকি?” বাবা বললেন “সাহেবের গাড়িটা আমাদের বাড়ি পর্যন্ত এসেছিল”। আপাতভাবে দুজনের কথাবার্তা অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও প্রয়োগতত্ত্ব অনুযায়ী বাক্যগুলি বিশ্লেষণ করা সম্ভব।
২.৭. “মৃত্যুঞ্জয় শোনে কিন্তু তার চোখ দেখেই টের পাওয়া যায়”- কী টের পাওয়া যায়?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দেখেই টের পাওয়া যায় যে কথার মানে সে আর বুঝতে পারছে না কারণ তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাঁচ অর্থহীন হয়ে গেছে।
২.৮. কবি কাকে শীতের দুঃস্বপ্ন বলেছেন?
উত্তরঃ “ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাসকে” কবি শীতের দুঃস্বপ্নের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২.৯. ‘জেগে উঠিলাম’ - কবি কোথায় কীভাবে জেগে উঠলেন?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারানের কূলে অর্থাৎ দৃশ্যমান জগৎসংসারের শেষ প্রান্তে উপনীত হয়ে জেগে উঠলেন।
২.১০. “তাই অনেক ভেবেচিন্তে আমরা একটা প্যাঁচ বের করেছি” - প্যাঁচটির পরিচয় দাও।
উত্তরঃ বিভাব নাটকের নাট্যকার শম্ভু মিত্র যে প্যাঁচটির উল্লেখ করেছেন সেটি হল- কোনোরকম নাট্য উপকরণ (অর্থাৎ আলো, সিন-সিনারি ইত্যাদি) ছাড়াই শুধুমাত্র অঙ্গভঙ্গিমার ব্যবহার করে নাটক মঞ্চস্থ করা।
অথবা,
“মরে যাবো তবু ভুলবো না” কে কী ভুলবে না?
উত্তরঃ কথক রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় সেই বড়লোকের সুন্দরী মেয়েটির আশ্চর্য ভালোবাসার কথা ভুলবেন না।
২.১১. “রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত”- কারা পাথর আনত ও কাদের খ্যাতি হত?
উত্তরঃ শ্রমিকরা পাথর ঘাড়ে করে আনত কিন্তু খ্যাতি হতো রাজাদের।
অথবা,
“আমি কৌতুহলী হয়ে উঠি”- বক্তা কোন বিষয়ে কৌতুহলী হন?
উত্তরঃ এক ভয়ংকর গ্রীষ্মের দুপুরে শিষ্যদের নিয়ে গুরু নানক জনমানবহীন হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছেছিলেন। তারপর কী হয়েছিল সেই ঘটনা শোনার জন্য বক্তা কৌতূহলী হন।
২.১২. “গুচ্ছধ্বনি” কাকে বলে?
উত্তরঃ পাশাপাশি উচ্চারিত দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশকে গুচ্ছধ্বনি বলা হয়।
১৷ অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫×১ =৫
১.১. ‘সে বুঝতে পারে সব ভাত ওরা পথে ফেলে দিতে যাচ্ছে।’ – ‘ওরা’ বলতে কাদের বােঝানাে হয়েছে ? ওরা সব ভাত ফেলে দিতে যাচ্ছিল কেন? ‘সে’ কে ? বুঝতে পেরে সে কী করেছিল? ১+১+১+২
১.২. ‘এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী ? - কে, কোন অপরাধের প্রায়শ্চিত্তের কথা বলেছেন? বক্তা নিজেকে অপরাধী মনে করেছেন কেন? ১+২+২
২৷ অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫×১ =৫
২.১. ‘এসেছে সে ভােরের আলােয় নেমে’ - সেই ভােরের বর্ণনা দাও। ‘সে’ ভােরের আলােয় নেমে আসার পর কী কী ঘটল, লেখাে। ৩+২
২.২ ‘অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলাের কলঙ্ক’ - এখানে কোন্ মানুষদের কথা বলা হয়েছে ? তারা অবসন্ন কেন ? ‘ধুলাের কলঙ্ক’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন। ১+২ +২
৩৷ অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫×১ =৫
৩.১. ‘এমনি সময় হঠাৎই এক সাহেবের লেখা পড়লাম।” - এমনি সময়’ বলতে কোন্ পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে? সাহেবের নাম কী? তিনি কী লিখেছিলেন? ২+১+২
৩.২. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের সূচনায় মঞ্চসজ্জার যে বর্ণনা আছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে। নাটকটির নামকরণ কতখানি সার্থক - তা আলােচনা করাে। ২ + ৩
৪৷ অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫×১ =৫
৪.১. ‘স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব। আর কেউ কাঁদেনি?” উদ্ধৃতাংশটি যে কবিতার অন্তর্গত, সেই কবিতায় আর কোন্ কোন্ শাসকের নাম আছে? ফিলিপ কেঁদেছিলেন কেন? “আর কেউ কাদেনি?”- বলতে বক্তা কী বােঝাতে চেয়েছেন? ২ + ১ + ২
৪.২. ‘হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল।’ - তেষ্টা মেটানাের জন্য মর্দানাকে কী করতে হয়েছিল? তার তেষ্টা শেষ অবধি কীভাবে মিটেছিল?
৫৷ অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫×১ =৫
৫.১. ‘এত ফসল, এত প্রাচুর্য - তবু কিন্তু মানুষগুলাের দিকে তাকালে মনে হয় জীবনে তাদের শান্তি নেই।’ - মানুষগুলাের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও। তাদের জীবনে শান্তি নেই কেন? ৩+২
৫.২. “মেঘের গায়ে জেলখানা” রচনা অবলম্বনে সাধুচরণ ও মুস্তাফার জীবনকাহিনি বর্ণনা করাে ৷ ৩+২
৬৷ অনধিক ১৫০ শব্দে যে কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫×১ =৫
৬.১. উদাহরণসহ ধ্বনিমূল’ ও ‘সহধ্বনি’-র সম্পর্ক বুঝিয়ে দাও ৷
৬.২. শব্দার্থের পরিবর্তন বলতে কী বােঝো? উদাহরণসহ ‘শব্দার্থের সংকোচ’ ও ‘শব্দার্থের প্রসার’ সম্বন্ধে আলােচনা করাে। ১+২+২
অথবা,
‘রূপমূল’ কাকে বলে? উদাহরণসহ ‘স্বাধীন ও পরাধীন’ রূপমূল-এর পরিচয় দাও। ১+২ +২
৭৷ অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×২ =১০
৭.১. বাংলা সংগীত জগতে গায়ক ও সুরকার রূপে হেমন্ত মুখােপাধ্যায় অথবা মান্না দের স্থান নিরূপণ করাে। ৫
৭.২. বাঙালির কুস্তিচর্চার ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ৫
৭.৩. বাঙালির বিজ্ঞান-সাধনায় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদান আলােচনা করাে। ৫
৭.৪. ‘পট’ বলতে কী বােঝানাে হয়? এই শিল্পধারাটির একটি পরিচয়মূলক বিবৃতি প্রস্তুত করাে। ৫
৮৷ নিম্নলিখিত যে কোন একটি বিষয়ে নির্বাচন করে, নির্দেশ অনুসারে কমবেশি চারশো শব্দে একটি প্রবন্ধ রচনা কর। ১০×১ =১০
৮.১. নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বন করে প্রবন্ধ রচনা কর।
৮.২. প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে, পরিণতি দানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করাে :
শুভ উৎসব
আমাদের উৎসবে অন্তরেরই প্রথম প্রতিষ্ঠা। সমারােহসহকারে আমােদপ্রমােদ করায় আমাদের উৎসব কিছুমাত্র চরিতার্থ হয় না। উৎসবের মধ্যে আন্তরিক প্রসন্নতা ও শুভেচ্ছাটুকু না থাকলেই নয়। উৎসব-প্রাঙ্গন থেকে সামান্য ভিক্ষুকও যদি ম্লান মুখে ফিরে যায়, উৎসব ব্যর্থ হয়। যে-কোনাে ধর্মেরই উৎসব হােক না কেন, যাত্রা হােক, কথকতা হােক, রামায়ণ গান হােক, চণ্ডীপাঠ হােক, যখন যা হয়, উন্মুক্ত গৃহপ্রাঙ্গনে এসে সর্বসাধারণ যদি তাতে অকাতরে যােগদান করেন, তবেই চিত্তের প্রশান্তি। উৎসবের পূর্ণতা।
৮.৩. প্রতিপক্ষের যুক্তির দুর্বলতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিবিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করাে :
বিতর্কের বিষয়: ‘ফেসবুক আশীর্বাদ’
পৃথিবী নিকট হয়েছে। জ্ঞানচর্চায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। ব্যক্তিগত প্রচারমাধ্যম হওয়ায়, প্রত্যেকেই তার সৃষ্টিকে প্রকাশ করবার আনন্দ লাভ করছেন। সমাজে গতিশীলতা এসেছে। সংবাদ মাধ্যমের অপেক্ষা অনেক দ্রুত দেশ ও বিদেশের ব্যক্তিগত ও সমাজগত সংবাদ প্রেরণ করা সম্ভব হয়েছে। দেশ-বিদেশের সমমনা ও সহমর্মী মানুষেরা নিকট হতে পেরেছেন। মানুষকে আর একা’-র অবজ্ঞায় থাকতে হচ্ছে না।
বিপক্ষে: ভুয়াে তথ্য, ভুয়া তত্ত্বে দেশ আচ্ছন্ন, পৃথিবী পরিব্যাপ্ত হচ্ছে। মানুষের একান্ত ব্যক্তি-জীবনকে ‘একা’ রাখার অভ্যাস চলে যাচ্ছে। ফেসবুকের ব্যক্তিবিজ্ঞাপন প্রকাশ্য হয়ে, অন্যের মনে অবসাদ জন্ম দিচ্ছে। প্রমাণহীন নিন্দা, শ্লেষে মানুষ মানুষের প্রতি হিংসার মনােভাব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। পড়াশুনাের মনােযােগ নষ্ট হয়ে, সব বিষয়েই অল্প অল্প জানার রীতি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। সমস্ত সময়ে এইদিকে মনােযােগ, স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।
৮.৪. প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে :
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮২০ বীরসিংহ গ্রাম (তদানীন্তন হুগলী জেলা)
মাতা-পিতা: ভগবতী দেবী, ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষাজীবন: পাঠশালা, পরে কলিকাতা রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়। বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ। সংস্কৃত ভাষাশ্রিত বিদ্যার পরে ইংরেজি ভাষাশ্রিত বিদ্যায় শিক্ষাগ্রহণ।
কর্মজীবন: সংস্কৃত কলেজ, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, সংস্কৃত কলেজ। ফোর্ট উইলিয়ামে বাংলা ভাষার পণ্ডিত, সংস্কৃত কলেজে সাহিত্যের অধ্যাপক, পরে অধ্যক্ষ। ১৮৫৭-এর নভেম্বর থেকে অন্তত ৩৫টি স্কুল স্থাপন।
সমাজসংস্কার: বালবিবাহ ও বহুবিবাহ রােধ আন্দোলন। স্ত্রীশিক্ষার প্রসার ও বিধবা বিবাহ প্রচলন।
সাহিত্যকৃতি: বাংলা গদ্যের আধুনিক রূপদানের তিনি সেনাপতি’। বর্ণপরিচয়, বােধােদয়, কথামালা, আখ্যানমঞ্জরী প্রভৃতি গ্রন্থ রচনার পাশাপাশি অনুবাদ গ্রন্থ, বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, সীতার বনবাস, ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
মৃত্যু: ২৯ জুলাই, ১৮৯১।
No comments:
Post a Comment